যখন সরকার তার আয়ের চেয়ে বেশি ব্যয় করে, তখন একটি রাজস্ব ঘাটতি হয়। সরকারকে তার দায়িত্ব পালনের জন্য ট্রেজারি বিলের আকারে বা একটি ঋণ অর্থায়ন কর্মসূচির মাধ্যমে অর্থ ধার করতে হবে। উদাহরণস্বরূপ, সরকার যদি বন্ড বিক্রি করে 200 কোটি টাকা সংগ্রহ করে এবং কর এবং অন্যান্য উত্স থেকে 200 কোটি টাকা সংগ্রহ করে তবে এটি একটি ভারসাম্যপূর্ণ বাজেট হবে। অন্যদিকে, কাউন্সিল যদি পাবলিক ওয়ার্কস প্রকল্পে 230 কোটি টাকা ব্যয় করে এবং শুধুমাত্র 190 কোটি টাকা করের পরিমাণ বাড়ায়, তাহলে এটি 30 কোটি টাকার রাজস্ব ঘাটতি চালাবে।
রাজস্ব ঘাটতি: ব্যাখ্যা
সরকারের মোট ব্যয় এবং এর মোট প্রাপ্তির মধ্যে পার্থক্যকে রাজস্ব ঘাটতি বলা হয়। এটি একটি রাজনৈতিক সত্তার (সরকার, রাজ্য বা প্রদেশ, ইত্যাদি) স্বল্পমেয়াদী ঘাটতি (এক বছর বা তার কম হওয়ার প্রবণতা) এবং একটি কোম্পানির দীর্ঘমেয়াদী ঘাটতি (এক বছরের বেশি হওয়ার প্রবণতা) বর্ণনা করে৷ একটি বাজেট ঘাটতি ঘটে যখন ভবিষ্যতের ব্যয়ের বর্তমান মূল্য ভবিষ্যতের প্রাপ্তির বর্তমান মূল্যকে ছাড়িয়ে যায়, যেখানে মুদ্রাস্ফীতির কারণে সরকারী ঋণের কোনো বৃদ্ধি ঘটে না। মূলধন ব্যয় সরকারের একটি প্রধান ব্যয়। এর মধ্যে রয়েছে গবেষণা ও উন্নয়ন, রাস্তা ও সেতুর মতো অবকাঠামো নির্মাণ এবং দরিদ্র কৃষক, শ্রমিক ইত্যাদিকে আর্থিক সহায়তার জন্য ব্যয় করা। বৃদ্ধির কারণে ঘাটতি ঘটতে পারে মূলধন ব্যয়ের প্রয়োজনে, উচ্চ কর আরোপ, বা সরকারী মালিকানাধীন কোম্পানি থেকে কর বা লভ্যাংশ থেকে আয় হ্রাসের কারণে।
রাজস্ব ঘাটতি: হিসাব
রাজস্ব ঘাটতি নির্ণয় করতে সরকারের মোট আয় এবং মোট ব্যয়ের মধ্যে পার্থক্য ব্যবহার করা হয়। কর, ঋণ বহির্ভূত মূলধন প্রাপ্তি এবং অন্যান্য ধরনের রাজস্ব, ধার ব্যতীত সবই সরকারের মোট আয়ের অন্তর্ভুক্ত। মোট সরকারী ব্যয় (রাজস্ব এবং মূলধন উভয় ব্যয় সহ) – মোট সরকারী আয় (উৎস থেকে যেমন রাজস্ব এবং অ-রাজস্ব প্রাপ্তি, ঋণ পুনরুদ্ধার) = রাজস্ব ঘাটতি