বিপিএলের পূর্ণরূপ হল দারিদ্র্য সীমার নিচে। BPL হল একটি অর্থনৈতিক মানদণ্ড যা আয়ের একটি নির্দিষ্ট স্তরের সাথে সংযুক্ত, যা ভারত সরকার দ্বারা নির্ধারিত হয়। এটি সরকারী সহায়তার অবিলম্বে প্রয়োজনে আর্থিকভাবে অসচ্ছল ব্যক্তি এবং পরিবারগুলি সনাক্ত করতে সহায়তা করতে পারে।
দারিদ্র্যসীমার নিচে: এটা কি?
দারিদ্র্যসীমার নিচে বসবাসকারী ব্যক্তিদের (বিপিএল) চিহ্নিত করতে সরকার অনেক সূচক ব্যবহার করে। এই মানদণ্ড গ্রামীণ এবং শহুরে অবস্থানের মধ্যে পৃথক হতে পারে। বিভিন্ন দেশ দারিদ্র্যকে সংজ্ঞায়িত করার জন্য বিভিন্ন কারণ এবং পদ্ধতি ব্যবহার করে। সুরেশ টেন্ডুলকার কমিটি 2011 সালে ভারতে দারিদ্র্যসীমা সংজ্ঞায়িত করেছিল। এটি খাদ্য, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, পরিবহন এবং বিদ্যুতের জন্য মাসিক খরচ ব্যবহার করে গণনা করা হয়েছিল। এই কমিটির মতে, যে ব্যক্তি শহরাঞ্চলে প্রতিদিন 33 টাকা এবং গ্রামীণ এলাকায় প্রতিদিন 27 টাকা ব্যয় করেন তাকে দরিদ্র হিসাবে বিবেচনা করা হয়।
বিপিএল: ভারতে দারিদ্র্যের কারণ
-
সম্পদের ব্যবহার হ্রাস
কর্মহীনতা, মানব সম্পদের গোপন বেকারত্ব এবং অদক্ষ সম্পদ ব্যবস্থাপনার ফলে কৃষির উৎপাদনশীলতা কম হয়েছে, যার ফলে তাদের জীবনযাত্রার মান হ্রাস পেয়েছে।
-
অর্থনৈতিক উন্নয়নের একটি দ্রুত গতি
অর্থনৈতিক উন্নয়নের হার ভারতে ভালো স্তরের জন্য যা প্রয়োজন তা অনেক নিচে। ফলস্বরূপ, পণ্য এবং পরিষেবাগুলির প্রাপ্যতা এবং চাহিদার মধ্যে এখনও একটি বৈষম্য রয়েছে। দারিদ্র্যই শেষ প্রভাব।
-
মূলধনের অভাব এবং সক্ষম উদ্যোক্তা
প্রবৃদ্ধি বৃদ্ধিতে অত্যন্ত প্রয়োজনীয় অর্থ এবং দীর্ঘমেয়াদী উদ্যোক্তা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। যাইহোক, এগুলোর অর্থের অভাব রয়েছে, ফলে উৎপাদন বাড়ানো কঠিন হয়ে পড়েছে।
-
সমাজের ফ্যাক্টর
আমাদের দেশের সামাজিক কাঠামো বিশ্বের অন্যান্য দেশের তুলনায় অত্যন্ত পশ্চাদপদ, এবং দ্রুত অগ্রগতির জন্য উপযোগী নয়। বর্ণপ্রথা, উত্তরাধিকার আইন, অনমনীয় ঐতিহ্য এবং অনুশীলনগুলি দ্রুত অগ্রগতিতে বাধা দিচ্ছে এবং দারিদ্র্য সমস্যাকে আরও বাড়িয়ে তুলছে।
-
অসম আয় বণ্টন
শুধু উৎপাদনশীলতা বাড়ানো বা জনসংখ্যা কমিয়ে আমাদের দেশের দারিদ্র্য দূর করা যায় না। আমাদের অবশ্যই স্বীকার করতে হবে যে আয় বণ্টন এবং সম্পদ কেন্দ্রীকরণে বৈষম্য অবশ্যই সমাধান করা উচিত। সরকার আয় বৈষম্য কমাতে পারে এবং অর্থনীতিকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারে।
-
আঞ্চলিক বঞ্চনা
নাগাল্যান্ড, উড়িষ্যা, বিহার ইত্যাদির মতো বেশ কয়েকটি রাজ্যে দারিদ্র্যের অসম বণ্টন দ্বারা ভারত বিভক্ত। প্রশাসনের উচিত বিশেষ সুবিধা এবং প্রণোদনা প্রদান করা যাতে সুবিধাবঞ্চিত এলাকায় বেসরকারি পুঁজি বিনিয়োগকে উৎসাহিত করা হয়।