অল্প দিনের ছুটিতে কলকাতার কাছাকাছি প্রথম 10টি দেখার মত স্থান বা টুরিস্ট প্লেস

সাংস্কৃতিক দিক থেকে সমৃদ্ধ শান্তিনিকেতন থেকে শান্ত সমুদ্র সৈকত এবং জাতীয় উদ্যানগুলি পর্যন্ত, কলকাতার আশপাশেই রয়েছে কয়েকটি দারুণ দেখার জায়গা৷ অল্প দিনের ছুটিতে কলকাতার কাছাকাছি প্রথম 10টি টুরিস্ট প্লেস এর বিষয় বলা হল৷

যদি আপনি কয়েকদিনের জন্য কলকাতার বাইরে যেতে ইচ্ছা করেন অথবা কলকাতার সব দর্শনীয় স্থানগুলি দেখা হয়ে গিয়ে থাকে, তাহলে, কলকাতার খুব কাছেই রয়েছে, সাংস্কৃতিকভাবে সমৃদ্ধ শান্তিনিকেতন থেকে শান্ত সমুদ্র সৈকত আর জাতীয় উদ্যানগুলির মতো দেখার জন্য কয়েকটি দারুণ জায়গা৷ কলকাতার কাছেই অবস্থিত এই জায়গাগুলি তাদের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য, ইতিহাস, শিল্প এবং সংস্কৃতির দ্বারা ভ্রমণ পিপাষু পর্যটকদের আকর্ষণ করে৷ এখানে একটি অল্প কয়েকদিনের ছুটিতে কলকাতার কাছাকাছি প্রথম 10টি দেখার মতো জায়গার বিষয়ে বলা হয়েছে৷  

Table of Contents

 

tourist places to visit near Kolkata

 

tourist places to visit near Kolkata

 

tourist places to visit near Kolkata

এছাড়াও দেখুন: প্রথম 15টি কলকাতার দেখার মত অনন্য স্থান

 

কলকাতার কাছাকাছি ঘোরার মত স্থান #1: সুন্দরবন

tourist places to visit near Kolkata 

 

tourist places to visit near Kolkata

 

tourist places to visit near Kolkata

 

কলকাতার কাছাকাছি দেখার মত সব থেকে ভালো টুরিস্ট প্লেসগুলির একটি হল সুন্দরবন৷ কলকাতা থেকে প্রায় 109 কিমি দূরে, এটি হল বিশ্বের মধ্যে সব থেকে বড় ম্যানগ্রোভ ফরেস্ট বা গরান গাছের জঙ্গল৷ সুন্দরবন সুপরিচিত তার রয়্যাল বেঙ্গল টাইগার, জলপথ এবং জলজ প্রাণীগুলির জন্য৷ গরান গাছের ঘন জঙ্গলের বা ম্যানগ্রোভের একটি বড়ো অংশকে জাতীয় উদ্যান হিসাবে সংরক্ষিত করা হয়্ছে৷ সুন্দরবন জাতীয় উদ্যানের প্রবেশ দ্বার, সজনেখালিতে যাওয়া যেতে পারে শুধুমাত্র নৌকায়৷ যেহেতু বাঘের অভয়ারণ্যে রয়েছে অসংখ্য দ্বীপ, জলপথ, খাঁড়ি এবং ছোট ছোট নদী, আপনি সুন্দরবন ন্যাশনাল পার্কে উপভোগ করতে পারেন ওয়াইল্ড লাইফ বোট সাফারি৷ ইউনেস্কোর দ্বারা ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সাইট হিসাবে চিহ্নিত এই স্থানটি হল বন্যপ্রাণীগুলির সাহচর্যে সময় কাটানোর জন্য একেবারে আদর্শ স্থান৷ এই জাতীয় উদ্যানটিতে অন্যান্য আকর্ষণীয় স্থানগুলিও রয়েছে যেমন বন্যপ্রাণী সংগ্রহশালা এবং ওয়াচটাওয়ারগুলিসহ কুমির এবং কচ্ছপ পালন খামার৷ জঙ্গলের গাছ-গাছালির মধ্যে অন্তর্ভুক্ত হয় সুন্দরী গাছ যার থেকে স্থানটির নামকরণ৷ জঙ্গলে রয়েছে প্রায় 30,000 স্পটেড ডিয়ার বার গায়ে ছোপযুক্ত হরিণ এবং প্রায় 400 রয়্যাল বেঙ্গল টাইগার৷ এছাড়াও আপনি দেখতে পেতে পারেন অলিভ রিডলে কচ্ছপ, রাক্ষুসে কাঁকড়া, এবং অবলুপ্ত হতে থাকা একটি বিরল প্রজাতির কচ্ছপ, বাতাগুর বাসকা৷ সুন্দরবনের ব্যাঘ্র অভয়ারণ্যের কাছেই থাকা সজনেখালি বার্ড স্যাঙচুয়ারি বা পক্ষীরালয় হল পাখি দেখার জন্য সর্বোৎকৃষ্ট স্থান৷ এখানে আপনার চোখে পড়তে পারে স্বর্গীয় পাখিগুলি, যেমন ক্যাসপিয়ান টার্ন, অস্প্রে হেরিং গাল, স্পটেড বিল পেলিক্যান, প্যারাডাইস ফ্লাইক্যাচার এবং একটি বিরল শীতকালীন পাখি, এশিয়ান ডোউইচারস৷

 

কলকাতার কাছাকাছি বেড়ানোর জায়গাগুলি #2: বিষ্ণুপুর

tourist places to visit near Kolkata

 

কলকাতার নিকটতম ভ্রমণ স্থানগুলির মধ্যে একটি হল, পশ্চিমবঙ্গের বাঁকুড়া জেলায় অবস্থিত, বিষ্ণুপুর৷ কলকাতা থেকে প্রায় 135 কিমি দূরে, বিষ্ণুপুরের রয়েছে গৌরবপূর্ণ অতীত যা তার সমৃদ্ধ নির্মাণশৈলী এবং হস্তশিল্পের মাধ্যমে প্রতিফলিত হয় যেমন মৃৎপাত্র শিল্প এবং তাঁত শিল্প৷ এখানে আছে অতীব সুন্দর পোড়া মাটির বা টেরাকোটা শিল্পের মন্দির এবং টেরাকোটার মাটির পাত্র, যেগুলি হল এখানকার প্রধান আক্রষণ৷ টেরাকোটার মন্দিরগুলি নির্মিত হয়েছিল 17শ এবং 18শ শতাব্দীতে মল্লার রাজ-বংশের রাজাদের দ্বারা৷ মন্দিরগুলির নকশা করা হয়েছিল ভগবান কৃষ্ণের জীবন গাথা এবং হিন্দু মহাকাব্যগুলির উপাখ্যান খোদাই করে৷ কয়েকটি সুপরিচিত মন্দির হল, জোড়বাংলা মন্দির, রাসমঞ্চ মন্দির এবং শ্যামরাই মন্দির৷ রাসমঞ্চ হল, 1600 শতাব্দীতে তৈরি হওয়া, সব থেকে পুরানো ইটের তৈরি মন্দির এবং এটিতে রয়েছে কুটিরের আকারের চূড়া দিয়ে বেষ্টিত, প্রসারিত পিরামিডের মত মিনার৷ পঞ্চরত্ন মন্দিরে আছে একটি অষ্টভুজাকৃতির কেন্দ্রীয় শিখর, যেখানে অন্য চারটি চতুর্ভুজাকৃতি এবং দেওয়ালের খোদাই করা শিল্পগুলি বর্ণনা করে ভগবান কৃষ্ণের জীবনগাথা৷ এছাড়াও, 1655 খৃষ্টাব্দে সুরকির ইট দিয়ে তৈরি জোড়বাংলা মন্দিরটিও দর্শনীয়৷ এটি দেখতে, একটি মাত্র স্তম্ভের দ্বারা সংযুক্ত একত্রে থাকা দুটি পর্ণকুটিরের মত৷

 

কলকাতার কাছাকাছি বেড়ানোর জায়গাগুলি #3: শান্তিনিকেতন 

tourist places to visit near Kolkata

 

tourist places to visit near Kolkata 

 

tourist places to visit near Kolkata

 

শান্তিনিকেতন হল, কলকাতা থেকে প্রায় 164 কিমি দূরে অবস্থিত একটি সুন্দর টুরিস্ট প্লেস বা ভ্রমণ কেন্দ্র৷ এটি, নোবেল পুরস্কার ভূষিত, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের প্রতিষ্ঠিত বিশ্ব ভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য সুবিখ্যাত৷ শান্তিনিকেতন একটি শহরে বিকশিত হয়ে উঠে কলকাতার নিকটবর্তী একটি সুপরিচিত ভ্রমণ স্থানে পরিণত হয়েছে৷ বিশ্ববিদ্যালয়টির পঠন-পাঠন সংস্কৃতি হল মুক্ত-আকাশের নীচে৷ বিশ্ববিদ্যালয়ে আছে বিনোদ বিহারী মুখোপাধ্যায়, নন্দলাল বসু এবং রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের সৃষ্টি করা বহু সুন্দর চিত্রকলা, প্রাচীরচিত্র, দেওয়াল অলঙ্করণ এবং ভাস্কর্য৷ উত্তরায়ণ কমপ্লেক্সে আছে পাঁচটি ভবন, যেগুলি হল ঐতিহাসিক ঐতিহ্যমন্ডিত ভবন৷ এই স্থানটিতেই রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর বাস করতেন৷ বর্তমানে এখানে আছে একটি সংগ্রহশালা এবং আর্ট গ্যালারি৷ উপাসনা গৃহ (প্রার্থনা স্থল) এর নকশা করা হয়েছিল অতীব সুন্দর চিত্রবৎ রঙিন কাচের জানালা দিয়ে৷ কলা ভবনকে বিশ্বের মধ্যে সর্বোৎকৃষ্ট দর্শনযোগ্য শিল্পের মহাবিদ্যালয় হিসাবে সম্মান প্রদান করা হয়৷ এখানে রয়েছে সুবিখ্যাত শিল্পীদের দ্বারা সৃষ্টি করা চিত্র, ভাস্কর্য, দেওয়াল অলঙ্করণ, এবং প্রাচীরচিত্রগুলি৷ এখানে, একজন পর্যটক, বিশ্ববিদ্যালয়ের থেকে 3 কিমি দূরে থাকা বল্লভপুর বন্যপ্রাণী অভয়ারণ্যটিও দেখতে পারেন৷ শান্তিনিকেতনে আসার সব থেকে উৎকৃষ্ট সময় হল এখান উৎসব এবং মেলাগুলির সময়ে, যেমন মার্চে বসন্ত উৎসব, জানুয়ারিতে জয়দেব মেলা এবং ডিসেম্বর মাসে পৌষ মেলার সময়ে৷ এই উৎসবগুলির সময়ে, বিখ্যাত বাউল সঙ্গীত শিল্পীরা তাঁদের গানের দ্বারা আপনাকে ভুলিয়ে দেবেন৷ শান্তিনিকেতন হল বাটিক, মাটির পাত্র, তাঁত শিল্প এবং সূচিশিল্পের মত ঐতিহ্যপূর্ণ হস্তশিল্পগুলিরও পিঠস্থান৷

এছাড়াও দেখুন: ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়াল কলকাতা: ব্রিটিশ যুগের একটি প্রতীকস্বরূপ মার্বেল প্রস্তরের সৌধ সম্পর্কে সকল কিছু 

 

কলকাতার কাছাকাছি বেড়ানোর জায়গাগুলি #4: ব্যারাকপুর

tourist places to visit near Kolkata

সূত্র: প্রিন্টারেস্ট

 

tourist places to visit near Kolkata

সূত্র: প্রিন্টারেস্ট

 

কলকাতা থেকে 30 কিমি দূরে অবস্থিত, ব্যারাকপুর ছিল 1857 সালের সিপাহি বিদ্রহের কেন্দ্রস্থল৷ এই ঐতিহাসিক শহরটিতে দেখার মতো বহু স্থান, যেমন দক্ষিণেশ্বর কালী মন্দিরের ছোট সংস্করণ, শিবশক্তি অন্নপূর্ণ মন্দির৷ এই 700-বছরের পুরনো কালী মন্দিরটি ছিল স্বাধীনতা সংগ্রামীদের মিলন-স্থল৷ স্বাধীনতা সংগ্রামী মঙ্গল পান্ডের নামে নামাঙ্কিত একটি উদ্যান, শহীদ মঙ্গল পান্ডে উদ্যানটি ব্যারাকপুরে অবস্থিত৷ এখানকার সর্বাধিক জনপ্রিয় কার্যকলাপগুলির মধ্যে কয়েকটি হল চড়ুইভাতি, গঙ্গা নদীবক্ষে নৌকা-বিহার, ইত্যাদি৷ উদ্যানটি ছাড়াও, বিজয়ান্ত মেমোরিয়ালও হল ভ্রমণকারীদের মধ্যে বেশ জনপ্রিয় সৌধ৷ সৌন্দর্য-মন্ডিত গথিক-শৈলীতে নির্মিত বার্থলোমিউ চার্চ বা গির্জাটিও হল দর্শনীয় বস্তু৷ গান্ধী মিউজিয়াম অথবা গান্ধী স্মারক সংগ্রহালয়টি হল ভারতে গবেষণা কেন্দ্রগুলির মধ্যে অন্যতম৷ এই মিউজিয়ামটিতে আছে পাঁটটি গ্যালারি, একটি অধ্যয়ন কেন্দ্র এবং একটি সুবিশাল পাঠাগার৷ গান্ধী মিউজিয়ামে আছে মহাত্মা গান্ধীর ছবি এবং ব্যক্তিগত ব্যবহার্য বস্তুগুলির একটি বিশাল সংগ্রহ৷ জওয়াহারকুঞ্জ উদ্যানটিও পর্যটকদের মধ্যে জনপ্রিয়, এটির নৈশব্দ এবং শান্ত পরিবেশের দ্বারা এটিকে পিকনিকের জন্য একটি আদর্শ স্থানে পরিণত করার জন্য৷

 

কলকাতার কাছাকাছি বেড়ানোর জায়গাগুলি #5: ডায়মন্ড হারবার

tourist places to visit near Kolkata

 

tourist places to visit near Kolkata

 

কলকাতার দক্ষিণ শহরতলীতে অবস্থিত, ডায়মন্ড হারবার হল একটি একদিনের উত্তেজনাপূর্ণ ভ্রমণ অথবা একটি সপ্তাহান্তভিত্তিক টুরিস্ট প্লেস৷ ডায়মন্ড হারবার হল একটি মায়া-বলে হারিয়ে যাওয়ার আস্তানা কারণ, ভিড়াক্রান্ত শহর থেকে দূরে, এর পরিবেশ হল শান্ত এবং নিবিড়৷ কলকাতার কাছে (50 কিমি) এই আকর্ষণীয় গন্তব্যটি হল বিশ্রাম নেওয়ার উদ্দেশ্যে ভ্রমণের জন্য আদর্শ৷ পূর্বে হাজিপুর নামে পরিচিত, ডায়মন্ড হারবার এমন একটি স্থানে অবস্থিত যেখানে গঙ্গা নদী সাগরের সঙ্গে মিলিত হওয়ার জন্য একটি দক্ষিণমুখী বাঁক নিয়েছে৷ প্রাকৃতিক সৌন্দর্য ছাড়াও, পর্যটকরা একটি পর্তুগীজ দুর্গের ধ্বংসাবশেষ এবং একটি লাইট হাউসও দেখতে পারেন৷ ডায়মন্ড হারবারের সন্নিকটে, হলদি নদীতেও একটি নৌকা বিহার করা যেতে পারে৷

 

কলকাতার কাছাকাছি বেড়ানোর জায়গাগুলি #6: বকখালি 

tourist places to visit near Kolkata 

 

tourist places to visit near Kolkata

 

বকখালি হল, কলকাতার দক্ষিণে প্রায় 125 কিমি দূরে, পশ্চিমবঙ্গের সমুদ্র তীরবর্তী একটি ছোট সৈকত শহর এবং কলকাতার নিটকস্থ সর্বোৎকৃষ্ট টুরিস্ট প্লেসগুলির মধ্যে একটি৷ বকখালি হল পশ্চিমবঙ্গের দক্ষিণাঞ্চলের একাধিক বদ্বীপগুলির মধ্যে একটি৷ বকখালির সমুদ্র সৈকতটি হল ভারতের সর্বাধিক সুন্দর সমুদ্রবেলাগুলির মধ্যে অন্যতম৷ এটি বিচ্ছিন্ন এবং আংশিকভাবে অনাবিষ্কৃত, তাই, বিশ্রাম নেওয়ার জন্য একটি আদর্শ স্থান৷ এই সৈকতটি এর অপূর্ব সুন্দর সূর্যোদয় এবং সূর্যাস্তের জন্য সুবিখ্যাত৷ কুমির প্রজনন কেন্দ্রটি দেখুন এবং কুমিরগুলিকে তাদের প্রাকৃতিক বাসস্থানে বিচরণ করতে৷ এই খামারটিতে রয়েছে দেশের মধ্যে সর্বাধিক সংখ্যক মোহানাভিত্তিক কুমির৷ হেনরি আইল্যান্ড হল, বকখালি থেকে প্রায় আধ ঘন্টার দূরত্বে, দেখার মতো আরও একটি স্থান৷ ওয়াচটাওয়ার থেকে আশপাশের ঘন সবুজের আচ্ছাদন স্থানটিকে মায়াবী স্নিগ্ধতা প্রদান করে৷ আপনি জঙ্গলের মধ্যে দিয়ে হেঁটেও হেনরি আইল্যান্ডে যেতে পারেন৷ জম্বুদ্বীপ অবস্থিত একটি অভয়ারণ্যে কাছে এবং বহু জলজ-পক্ষীর আবাসস্থল৷ বকখালি থেকে মাত্র 2 কিমি দূরে, ফ্রেজারগঞ্জে রয়েছে গগনচুম্বী উইনমিলগুলি৷ এই উইন্ডমিলগুলি হল একটি দর্শনীয় বস্তু যা খাড়া রয়েছে একটি সরলরেখায় এবং সৃষ্টি করে একটি মনোমুগ্ধকর দৃশ্য৷ 

এছাড়াও দেখে নিন ভারতের প্রথম 10টি ভ্রমণস্থল

 

কলকাতার কাছাকাছি বেড়ানোর জায়গাগুলি #7: মায়াপুর

tourist places to visit near Kolkata

 

tourist places to visit near Kolkata 

 

tourist places to visit near Kolkata

 

মায়াপুর হল, গঙ্গা নদীর তীরে অবস্থিত একটি ধর্মীয় এবং সাংস্কৃতিক গন্তব্য৷ কলকাতার 130 কিমি উত্তরে, মায়াপুর হল, ভগবান কৃষ্ণের অনুগামীদের জন্য বিশেষ গুরুত্বযুক্ত একটি তীর্থ ক্ষেত্র৷ মায়াপুরে রয়েছে ইসকন (ইন্টারন্যাশনাল সোসাইটি ফর কৃষ্ণ কনসাসনেস) এর প্রধান কার্যালয়৷ অতীব সুন্দর ইসকন কমপ্লেক্সে রয়েছে মন্দির, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এবং সমবেত প্রার্থনা এবং ধ্যানের জন্য একটি সাধারণ স্থান৷ এটিকে, 15শ শতাব্দীর ধর্মীয় নেতা, শ্রী চৈতন্য মহাপ্রভুর জন্মস্থান হিসাবে বিশেষ শ্রদ্ধা অর্পণ করা হয়৷ ইসকনের প্রতিষ্ঠাতা, শ্রীল প্রভুপাদ এর স্মৃতির উদ্দেশ্যে উৎসর্গীকৃত একটি সৌধ, পুষ্প সমাধি মন্দির হল সর্বাধিক দর্শন করা স্থানগুলির মধ্যে একটি৷ এটি হল গঙ্গা নদীর সঙ্গমস্থল যেখানে একটি পুণ্যস্নানের জন্য বহু ভক্তের সমাগম ঘটে৷ শান্তিপূর্ণ কিছু মুহূর্তের জন্য আপনি নদীর তীরে কিছুক্ষণ বসতে পারেন এবং বিমোহিত করা সূর্যাস্তের রূপ দর্শন করতে পারেন অথবা নৌকা করে গঙ্গায় ঘুরতে পারেন এবং সন্ধ্যায় স্বর্গীয় আরতি দর্শন করতে পারে৷ 

 

কলকাতার কাছাকাছি বেড়ানোর জায়গাগুলি #8: চিন্তামণি কর পক্ষীরালয়

tourist places to visit near Kolkata

 

চিন্তামণি কর পক্ষীরালয়টি অবস্থিত নরেন্দ্রপুরে৷ এই টুরিস্ট প্লেসটি কলকাতার সিটি সেন্টার থেকে প্রায় 9 কিমি দূরে দক্ষিণ 24 পরগনা জেলায়৷ এই পক্ষীরালয়টি হল ভারতে প্রধান পক্ষীরালয়গুলির মধ্যে একটি৷ এখানে দেখা যায় একটি বিস্তৃত পরিধির বৈচিত্র্যপূর্ণ প্রজাতির প্রজাপতি, পাখি, ফার্ণ এবং অর্কিড৷ প্রায় 17 একর বিস্তীর্ণ বিলাসবহুল সবুজের সমারহে অবস্থিত চিন্তামণি কর পক্ষীরালয়টি হল একটি বৈচিত্র্যপূর্ণ সংখ্যার পাখির আবাসস্থল, যেমন ভারতীয় পন্ড হেরন, স্কেলি ব্রেস্টেড মুনিয়া, হোয়াইট-থ্রোটেড কিংফিশার, কমন হক, কাক্কু, এমারেল্ড ডভ এবং ব্রোঞ্জড ড্রোঙ্গো৷ এই পক্ষীরালয়টি বহু প্রজাতির প্রজাপতিরও বাসস্থান যেমন রেড বেস জেজেবেল, পিকক প্যানসি এবং স্ট্রাইপড টাইগার৷ চিন্তামণি কর পক্ষীরালয় হল স্থানীয় ফলের গাছে পূর্ণ একটি ফলের বাগানও, এগুলির মধ্যে অনেকগুলি একশত বছরেরও অধিক পুরানো৷

 

কলকাতার কাছাকাছি বেড়ানোর জায়গাগুলি #9: চন্দননগর

tourist places to visit near Kolkata

 

 

View this post on Instagram

 

A post shared by Ami Chandannagar Bolchi (@amicgr)

 

চন্দননগর (পূর্বে নাম ছিল চন্দেরনগর) হল, কলকাতার উত্তরে 35 কিমি দূরে অবস্থিত, একটি কর্পোরেশন নগরী এবং পূর্বতন ফরাসি উপনিবেশ৷ দর্শনীয় স্থানগুলির মধ্যে থাকে সিটি মিউজিয়াম, দি সেক্রেড হার্ট চার্চ এবং ফ্রেঞ্চ সিমেট্রি যেগুলি হল ফরাসী স্থাপত্য দক্ষতার প্রামাণিক৷ চন্দেরনগর স্ট্র্যান্ড এবং চন্দেরনগর মিউজিয়াম হল জনপ্রিয় পর্যটন কেন্দ্র৷ চন্দননগর মিউজিয়ামে রয়েছে গুপ্তযুগের থেকে শুরু করে প্রাক-স্বাধীনতা পর্যায়ের একটি বিশাল এবং বৈচিত্র্যপূর্ণ প্রাচীন এবং পুরাতাত্ত্বিক ফরাসী এবং ব্রিটিশ বস্তু-সম্ভার৷ এখানে রয়েছে ইংরেজ এবং ফরাসীদের মধ্যে যুদ্ধে ব্যবহৃত ফরাসী যুদ্ধ-সামগ্রী এবং আগ্নেয়াস্ত্রগুলির এবং 18শ-শতাব্দীর কাঠের আসবাবগুলির একটি আকর্ষণীয় সংগ্রহ৷ চনন্দনগর স্ট্র্যান্ডটি হল, গঙ্গা নদীর তীর বরাবর নির্মিত গাছ এবং আলো দিয়ে সুসজ্জিত পায়ে হাঁটার জন্য সর্বাধিক জনপ্রিয় একটি স্থান৷ আরও একটি পর্যটক আকর্ষক স্থান, ‘‌পটল বাড়ি’, হল মাটির নীচে নির্মিত একটি ভবন যেটির সব নীচের তলটি গঙ্গা নদীতে নিমজ্জিত৷ ফরাসী নির্মাণ-শৈলীতে নির্মিত, চন্দননগরের 200-বছরের-পুরানো সেক্রেড হার্ট ক্যাথিড্রাল হল মনে রাখার মতো একটি স্থাপত্য কলা৷ অন্যান্য আকর্ষণীয় স্থানগুলির মধ্যে অন্তর্ভুক্ত হয়, নন্দদুলাল মন্দির এবং বিশালক্ষ্মী মন্দির৷ ‌    

এছাড়াও দেখুন: বিশ্বের দেখার মত 15টি সর্বোৎকৃষ্ট টুরিস্ট প্লেস

 

কলকাতার কাছাকাছি বেড়ানোর জায়গাগুলি #10: দিঘা

tourist places to visit near Kolkata

 

tourist places to visit near Kolkata

 

দিঘা হল অস্পৃষ্ট সমুদ্র সৈকতগুলি এবং প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের সুপরিচিত এবং জনপ্রিয় একটি ভ্রমণ কেন্দ্র৷ এটি কলকাতার কাছাকাছি একটি আনন্দ ঝলমল পারিবারের সঙ্গে একটি সপ্তাহান্ত কাটানোর জন্য সম্পূর্ণ সঠিক স্থান৷ এই ভ্রমণ কেন্দ্রটিতে রয়েছে দারুণ সমুদ্র সৈকতগুলি, উচ্চ-প্রযুক্তিভিত্তিক গবেষণা কেন্দ্র, মিউজিয়াম, মন্দির এবং প্রাকৃতিক দৃশ্য৷ একজন পর্যটকের আবশ্যিকভাবে দেখা উচিত নিউ দিঘার সমুদ্র সৈকত, মন্দারমণির সৈকত, শঙ্করপুরের সৈকত, অমরাবতী পরান্দ এবং জুওলজিকাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়ার মেরিন অ্যাকোয়ারিয়াম৷ পুরানো দিঘার সমুদ্র সৈকত থেকে মাত্র 2 কিমি দূরে, নতুন দিঘার সৈকতটি হল শহরের মধ্যে সর্বাধিক চাহিদা-যুক্ত স্থান৷ সমুদ্র, তীর থেকে কমপক্ষে এক মাইল দূরে, যেখানে রয়েছে বহু ক্যাসুরিনা গাছ৷ নিউ দিঘার সৈকতটি তার সূর্যোদয় এবং সূর্যাস্তের অপূর্ব সৌন্দর্যের জন্য জনপ্রিয়৷ তালসারি সৈকত হল আরও একটি শান্ত সমুদ্র সৈকত যেখানে আছে তাল গাছ এবং এটি হল প্রিয়জনদের সঙ্গে নিবিড়ভাবে কিছু শান্তির মুহূর্ত কাটানোর জন্য আদর্শ স্থান৷ শিশুরা, দেশের মধ্যে বৃহত্তম গৃহাভ্যন্তরীণ অ্যাকোরিয়াম, মেরিন অ্যাকোরিয়াম অ্যান্ড রিসার্চ সেন্টারটি দেখে আনন্দ পাবে৷ এখানে দেখতে পাবেন সি অ্যানিমোনস, রেস, লবস্টার, ক্র্যাব এবং শার্ক৷ দিঘার কাছেই, মাত্র 8 কিমি দূরে, পশ্চিমবঙ্গ-উড়িষ্যার সীমানা অঞ্চলে, চন্দনেশ্বর মন্দিরটিকে বহু শত বছরের পূরানো বলে বিশ্বাস করা হয় এবং ভগবান শিবের উদ্দেশ্যে নিবেদিত একটি দর্শনীয় স্থান৷ 

 

কলকাতা থেকে যাওয়ার মতো নিকটতম হিল স্টেশন: শিলিগুড়ি

tourist places to visit near Kolkata

 

tourist places to visit near Kolkata

 

tourist places to visit near Kolkata

 

tourist places to visit near Kolkata

 

মহানন্দা নদীর তীরে অবস্থিত, শিলিগুড়ি হল কলকাতার নিকটতম (প্রায় 580 কিমি) হিল স্টেশন৷ এটি উত্তর-পূর্ব ভারতের প্রবেশদ্বার নামেও পরিচিতি৷ এখানে একজন পর্যটক তুষারে আবৃত হিমালয় পর্বতমালা ভুবন-মোহিনী রূপ উপভোগ করতে পারেন৷ শিলিগুড়িতে অনেকগুলি পর্যটক আগ্রহের এবং গুরুত্বপূর্ণ স্থান আছে, যেমন ISKON মন্দির, সিপাই ধুরা চা বাগান, মহানন্দা বন্যপ্রাণী অভয়ারণ্য, সায়েন্স সিটি, করোনেশন ব্রিজ, সালুগারা মনাস্টারি এবং মধুবন পার্য৷ সালুগারা মনাস্টারি তৈরি করা হয়েছিল, দলাই লামাদের বাণী এবং শিক্ষার অনুসরণে তিব্বতি বৌদ্ধ সন্ন্যাসীদের দ্বারা, এবং এটির 100 ফুট উঁচু স্তূপের জন্য সুবিখ্যাত৷ তিস্তা এবং মহানন্দার মাঝের তীরে অবস্থিত বিশাল মহানন্দা বন্যপ্রাণী অভয়ারণ্যে রয়েছে চিতা, বাঘ, হাতি এবং পাখি এবং প্রদান করে ট্রেকিং আর পাখি দেখার মজা উপভোগ করার সুযোগ৷ জঙ্গলের মধ্যে ঘুরে দেখার জন্য জীপ গাড়ি এবং হাতির সাফারি পাওয়া যায়৷ শিলিগুড়ির থেকে নিকটতম দেখার জায়গাটি হল, শিলিগুড়ি থেকে প্রায় 25 কিমি দূরে সেবক শহরের করোনেশন ব্রীজ৷ এটি নির্মিত হয়েছিল রাণী এলিজাবেথ এবং রাজা জর্জের সিংহাসনে আরোহণের স্মারক হিসাবে৷ দার্জিলিং হিমালয়ান রেলওয়ে হল, চালু থাকা কয়েকটি পার্বত্য রেলপথের মধ্যে একটি৷ এটি 200 বছরের পুরানো এবং কয়েক বছর আগে একটি ইউনেস্কো বিশ্ব ঐতিহ্যবাহী স্থান হিসাবে ঘোষিত হয়েছে৷ নিউ জলপাইগুড়ি থেকে দার্জিলিং পর্যন্ত ট্রেন ভ্রমণটিতে উপভোগ করা যায় বহু সংখ্যক সুন্দর প্রাকৃতিক দৃশ্য৷ দুঃসাহসিকতায় আগ্রহীদের জন্য, সান্দাকফু হল আবশ্যিকভাবে জাওয়ার জন্য একটি জায়গা, কারণ এটি হল পশ্চিমবঙ্গে সর্বোচ্চ বিন্দু৷

 

tourist places to visit near Kolkata

 

প্রায়শই জিজ্ঞাসিত প্রশ্নগুলি (FAQs)

বর্ধমান কি কলকাতার নিকটবর্তী একটি দর্শনীয় স্থান?

বর্ধমান হল, কলকাতার কাছাকাছির মধ্য বেড়াতে যাওয়ার জন্য উৎকৃষ্ট স্থানগুলির মধ্যে একটি৷ এটি, সুদূর প্রসারী সবুজ ধান ক্ষেতের জন্য জনপ্রিয়, যার কারণে একে '‌বাংলার ধানের গোলা' নামেও ডাকা হয়ে থাকে৷ এখানে বন্যপ্রাণীর অভয়ারণ্য, ঐতিহাসিক মন্দির এবং সুন্দর সুন্দর উদ্যানগুলিও আছে৷ দেখার মতো স্থানগুলি হল ডিয়ার পার্ক এবং কৃষ্ণসায়র পার্ক এবং লেক৷ 108 শিব মন্দির, শের আফগানের সমাধি, কঙ্কালেশ্বরী মন্দির, খ্রাইস্ট চার্চ, কার্জন গেট এবং বার্নপুর নেহেরু পার্ক হল অন্যান্য পর্যটক আকর্ষণ কেন্দ্রগুলি৷‌

একটি কাপলের বেড়াতে যাওয়ার জন্য কলকাতার রোমান্টিক স্থানগুলি কী কী?

হুগলী নদীর তীর বরাবর সুন্দর প্রেক্ষাপটে গড়ে তোলা মিলেনিয়াম পার্ক হল কলকাতার সর্বাধিক রোমান্টিক স্থানগুলির মধ্যে একটি৷ দক্ষিণ কলকাতার একটি কৃত্রিম হ্রদ বা লেক, রবীন্দ্র সরোবর (ঢাকুরিয়া লেক) ও হল প্রেমিক-প্রেমিকা যুগলদের জন্য একটি পছন্দের জায়গা৷ প্রিন্সেপ ঘাট হল কলকাতার সব থেকে পুরানো বিনোদনমূলক স্থান এবং এই রোমান্টিক স্থানটিতে রয়েছে গ্রিক এবং গথিক-শৈলীর স্থাপত্ব৷ 480 একরের একটি বিশাল স্থান জুড়ে রয়েছে ইকো পার্ক, এবং এটি হল ভারতের সব থেকে বড় পার্ক, যার চার পাশে রয়েছে একটি বিশাল জলাভূমি এবং মাঝখানে আছে একটি দ্বীপ৷ ইলিয়ট পার্কও হল কলকাতার একটি রোমান্টিক স্থান৷

কলকাতা এবং নিকটবর্তী টুরিস্ট প্লেসগুলিতে যাওয়ার জন্য সর্বোৎকৃষ্ট সময় কোনটি?

অক্টোবর থেকে ফেব্রুয়ারী মাঝের শীতের মাসগুলি হল কলকাতা এবং তার কাছাকাছি দর্শনীয় স্থানগুলিতে যাওয়ার জন্য সর্বোৎকৃষ্ট সময়৷ বছরের এই সময়টিতে, ঘুরে বেড়ানোর জন্য আবহাওয়া থাকে মনোরম এবং শহর থাকে প্রাণচঞ্চল বিভিন্ন উৎসব এবং উদযাপনগুলির জন্য৷

 

Was this article useful?
  • 😃 (0)
  • 😐 (0)
  • 😔 (0)

Recent Podcasts

  • চেন্নাই আবাসিক বাজারে কী ঘটছে তা জানুন: এখানে আমাদের সর্বশেষ ডেটা বিশ্লেষণ ব্রেকডাউন রয়েছে
  • আহমেদাবাদ Q1 2024-এ নতুন সরবরাহে একটি পতন দেখেছে – আপনার কি উদ্বিগ্ন হওয়া উচিত? আমাদের বিশ্লেষণ এখানে
  • বেঙ্গালুরু আবাসিক বাজারের প্রবণতা Q1 2024: বাজারের অস্থির গতিবিদ্যা পরীক্ষা করা – আপনার যা জানা দরকার
  • হায়দ্রাবাদ আবাসিক বাজারের প্রবণতা Q1 2024: নতুন সরবরাহ হ্রাসের তাত্পর্য মূল্যায়ন
  • ট্রেন্ডির আলোকসজ্জার জন্য কমনীয় ল্যাম্পশেড ধারণা
  • ভারতে REITs: একটি REIT কী এবং এর প্রকারগুলি কী?