ভারতে দ্বিতীয় স্ত্রীর সম্পত্তির অধিকারগুলি খুবই জটিল, কারণ প্রাথমিকভাবে সেগুলি নির্ধারিত হয় তিনি যে ধর্ম বিশ্বাস অনুশীলন করেন তার ভিত্তিতে আইনে প্রযোজ্যতার উপর৷ তবে, তাঁর স্বামীর সম্পত্তির ক্ষেত্রে দ্বিতীয় স্ত্রীর দাবি দ্বিতীয় বিবাহের আইনানুগতা প্রতিষ্ঠার দ্বারা প্রতিপন্ন করতে হবে৷
একটি স্থানেই আপনার সম্পত্তি সম্পর্কিত সকল কিছু
দ্বিতীয় স্ত্রী: দ্বিতীয় স্ত্রীর আইনি স্থিতি পরীক্ষা করা
ভারতের উত্তরাধিকার আইন দ্বিতীয় স্ত্রীকে প্রথম স্ত্রীর মত একই মর্যাদা প্রদান করে, যদি বিবাহটি করা হয়ে থাকে প্রথম স্ত্রীর মৃত্যুর পরে, অথবা প্রথম স্ত্রী এবং স্বামীর মধ্যে বিবাহ বিচ্ছেদ চূড়ান্ত হওয়ার পরে৷ সম্পত্তির ক্ষেত্রে দ্বিতীয় স্ত্রীর আইনগত অবস্থানও একইভাবে স্থিতিশীল, যদি বিবাহটি প্রথম স্ত্রীর তাঁর স্বামীকে ছেড়ে যাওয়ার সাত বছর পরে ধর্মীয় আচার অনুসারে অনুষ্ঠিত হয়ে থাকে এবং স্বামীর তাঁর হাল-হদিস অথবা জীবিতাবস্থা সম্পর্কে কোনও প্রকার ধারণা না থাকে৷
এই পরিস্থিতিগুলির মধ্যে যেকোনো ক্ষেত্রেই, দ্বিতীয় স্ত্রী এবং তাঁর সন্তানদের তাঁর স্বামীর সম্পত্তির উপর, প্রথম স্ত্রীর এবং তাঁর সন্তানদের মত একই অধিকার থাকবে৷ তবে, বিবাহটি অসিদ্ধ হলে, দ্বিতীয় স্ত্রীর সম্পত্তির অধিকারগুলি প্রায় উপেক্ষণীয় হবে৷ হিন্দু বিবাহ আইন, 1955 অনুসারে, দ্বিতীয় বিবাহটি আইনি বৈধতা থাকবে তখনই শুধুমাত্র যখন, ”বিবাহের সময়ে, কোন পক্ষেরই একটি জীবিত স্বামী অথবা স্ত্রী থাকবে না”৷
এছাড়াও দেখুন: HUF বা অবিভক্ত হিন্দু পরিবারের ক্ষেত্রে এর এজমালি সম্পত্তির সরিকের অর্থ
দ্বিতীয় স্ত্রী: দ্বিতীয় বিবাহের আইনানুগতা
একটি বিবাহকে আইনি শুদ্ধতা প্রদানের উদ্দেশ্যে, হিন্দু বিবাহ আইন, 1955 এর ধারা 5 এর দ্বারা নির্ধারিত বহু শর্তাবলীর মধ্যে, একটি হল যে ‘বিবাহের সময়ে, কোন পক্ষেরই একটি জীবিত স্বামী অথবা স্ত্রী থাকবে না’৷
যদি স্বামী, প্রথম বিবাহটি বিদ্যমান থাকাকালীন তাঁর দ্বিতীয় স্ত্রীকে বিবাহ করেন, তাহলে হিন্দু আইন দ্বিতীয় বিবাহের সময়ে প্রথম বিবাহটিকে ‘বিদ্যমান’ হিসাবে চিহ্নিত করে৷ যার অর্থ হল যে স্বামী, এমনকি দ্বিতীয় বিবাহের সময় যখন তিনি তাঁর দ্বিতীয় স্ত্রীটিকে বিবাহ করেন তখন তিনি প্রথম স্ত্রীর সঙ্গে বিবাহিত থাকেন৷
হিন্দু বিবাহ আইন, 1955 অনুসারে, একজন ব্যক্তির অন্য একজনের সঙ্গে বিবাহটি অবৈধ হয় যদি তিনি তখনও অন্য একজন ব্যক্তির সঙ্গে বিবাহিত থেকে থাকেন৷ এর অর্থ হল, এই ক্ষেত্রে স্বামীর এবং দ্বিতীয় স্ত্রীর মধ্যে বিবাহটি অবৈধ৷
এছাড়াও প্রবেট অথবা উইলের বৈধতা যাচাই এর অর্থ, ব্যবহার এবং সেটি কীভাবে প্রয়োগ করতে হবে সেই সম্পর্কে সকল কিছু পড়ুন
দ্বিতীয় স্ত্রী: ভারতে সম্পত্তির অধিকারের জন্য প্রযোজ্য আইনসমূহহিন্দু উত্তরাধিকার আইন, 1956/2005: এই উত্তরাধিকার আইনটি হিন্দু, শিখ, জৈন এবং বৌদ্ধদের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য, যেখানে একজন ব্যক্তির একটি উইল অথবা ইচ্ছাপত্র না করেই মৃত্যু হয়৷ ভারতীয় উত্তরাধিকার আইন, 1925: এই আইনটি প্রযোজ্য হয় হিন্দুদের ক্ষেত্রে, যেখানে একজন ব্যক্তির একটি উইল বা ইচ্ছাপত্র (ইচ্ছাপত্রভিত্তিক উত্তরাধিকার) প্রস্তুত করার পরে মৃত্যু হয়৷ এই আইনটি খ্রিস্টানদের সম্পত্তির অধিকার নিয়েও কাজ করে৷ একজন মুসলিম ব্যক্তির, একটি উইল অথবা ইচ্ছাপত্র রেখে মৃত্যুর ক্ষেত্রেও, ভারতীয় উত্তরাধিকার আইন, 1925 প্রযোজ্য হবে৷ মুসলিম ব্যক্তি আইন (শরিয়ত) প্রয়োগ আইন, 1937: এই উত্তরাধিকার আইনটি মুসলিমদের প্রতি প্রযোজ্য হবে, যেখানে একজন ব্যক্তির একটি উইল না করে মৃত্যু হয়৷ |
এছাড়াও দেখুন: একজন মুসলিম নারীর সম্পত্তিতে অধিকার কি?
একটি দ্বিতীয় বিবাহের ক্ষেত্রে দ্বিতীয় স্ত্রীর সম্পত্তিতে অধিকার
একটি পরিস্থিতিতে, যেখানে বিবাহের কোন আইনি অনুমোদন থাকে না, দ্বিতীয় স্ত্রীর তাঁর স্বামীর উত্তরাধিকারমূলক সম্পত্তিতে কোন অধিকার থাকবে না৷ তবে, এটি স্বামীর স্ব-অর্জিত সম্পত্তির ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হবে না৷ তিনি সেটি, একটি উইলের মাধ্যমে, দ্বিতীয় স্ত্রীকে অন্তর্ভুক্ত করে, যেকোনো ব্যক্তিকে প্রদান করার জন্য মুক্ত৷ তবে, তাঁর একটি উইল বা ইচ্ছাপত্র না করে মৃত্যুর ক্ষেত্রে (আইনানুগভাবে অকৃত-ইচ্ছাপত্র হিসাবে পরিচিত), তাঁর সম্পত্তিগুলি, তাঁর ক্ষেত্রে প্রযোজ্য উত্তরাধিকার আইনগুলি অনুসারে, তাঁর আইনগত উত্তরাধিকারীদের মধ্যে বিভক্ত হবে৷
প্রথম স্ত্রীর সঙ্গে তাঁর বিবাহ বিচ্ছেদের অথবা প্রথম স্ত্রীর মৃত্যুর পরে অনুষ্ঠিত দ্বিতীয় বিবাহের ক্ষেত্রে, দ্বিতীয় বিবাহটির আইনি অনুমোদন থাকবে এবং দ্বিতীয় স্ত্রীর, তাঁর স্বামীর উত্তরাধিকার সূত্রে প্রাপ্ত এবং স্ব-অর্জিত সম্পত্তির ক্ষেত্রে সকল অধিকার থাকবে (তিনি তাঁর স্বামীর শ্রেণী-1 উত্তরাধিকারীদের মধ্যে পড়বেন)৷
এছাড়াও দেখুন: পশ্চিমবঙ্গে আইনগত উত্তরাধিকারীর সার্টিফিকেট ডাউন করা৷ আইনগত উত্তরাধিকারীর সার্টিফিকেট কি সেই সম্পর্কেও আমাদের নির্দেশিকা দেখুন৷
দ্বিতীয় স্ত্রী: তাঁর বিভিন্ন আইনভিত্তিক অবস্থান
বিভিন্ন আদালত, ভিন্ন ভিন্ন মামলার ভিত্তিতে, দ্বিতীয় স্ত্রীর সম্পত্তিতে অধিকারগুলির উপর বিভিন্ন অবস্থান গ্রহণ করেছেন৷ আমরা এখানে কিছু পরিস্থিতির এবং কীভাবে সেগুলি দ্বিতীয় স্ত্রীর সম্পত্তির অধিকারের বিষয়ে তাঁর আইনগত অবস্থানকে প্রভাবিত করছে সেটি প্রদর্শন করব৷
যদি দ্বিতীয় বিবাহটি স্বামীর প্রথম স্ত্রীর মৃত্যুর পরে অনুষ্ঠিত হয়ে থাকে
যেহেতু এই দ্বিতীয় বিবাহটির আইনগত বৈধতা থাকে, দ্বিতীয় স্ত্রী এবং তাঁর সন্তানগুলি স্বামীর শ্রেণী-1 আইনগত উত্তরাধিকারী হিসাবে তাঁদের সম্পত্তি অধিকারগুলি দাবি করতে পারেন৷ প্রথম স্ত্রীর সন্তানগুলির, দ্বিতীয় স্ত্রীর সন্তানগুলিসহ, সম্পত্তিতে সমান অধিকার থাকবে৷
যদি দ্বিতীয় স্ত্রী, তাঁর স্বামীকে তাঁর প্রথম স্ত্রীর সঙ্গে বিবাহ বিচ্ছেদের পরে বিবাহ করে থাকেন
এই ক্ষেত্রেই, দ্বিতীয় বিবাহটি বৈধ৷ তাই, এটি দ্বিতীয় স্ত্রীর প্রতি তাঁর স্বামীর সম্পত্তিতে অধিকার অনুমোদিত করে৷ যেহেতু বিদ্যমান আইনের অধীনে প্রথম স্ত্রীর সঙ্গে বিবাহ বিচ্ছেদ করা করা হয়েছে, তাঁর, তাঁর পূর্বতন স্বামীর সম্পত্তিতে কোন অধিকার থাকবে না৷ তবে, তাঁর সন্তানগুলি ব্যক্তিটির শ্রেণী-1 উত্তরাধিকারী থাকবে এবং উত্তরাধিকারমূলক সম্পত্তিতে তাঁদের অধিকার দাবি করতে পারেন৷
এছাড়াও দেখুন: কে একজন উত্তরাধিকারী এবং উত্তরাধিকার সূত্রে পাওয়া কি?
সম্পত্তিটি স্বামী এবং প্রথম স্ত্রীর সহ-মালিকানাধীন হওয়ার ক্ষেত্রে
যেহেতু সম্পত্তিটি স্বামী এবং প্রথম স্ত্রীর যুগ্ম-মালিকানাধীন, পরে জন সম্পত্তিটিতে তাঁর অংশের দাবি করতে সক্ষম হবেন৷ দ্বিতীয় স্ত্রী, তাঁর বিবাহের আইনানুগ বৈধতা স্বত্বেও, এই প্রকার সম্পত্তিতে কোন দাবি করতে পারেন না৷ তবে, প্রথম স্ত্রীর মৃত্যুর ক্ষেত্রে দ্বিতীয় স্ত্রী এই প্রকার সম্পত্তিতে দাবি করতে পারেন৷
প্রথম স্ত্রীর সঙ্গে বিবাহ বিচ্ছেদের ক্ষেত্রে
প্রথম স্ত্রী তাঁর স্বামীর স্ব-অর্জিত সম্পত্তিতে, যেটি প্রথম বিবাহ বিদ্যমান থাকাকালীন ক্রয় করা হয়েছিল, দাবি করতে পারেন, এমন কি যদি উভয়েই বিবাহ বিচ্ছেদের সিন্ধান্ত গ্রহণ করে থাকেন তাহলেও৷ যদি সম্পত্তিটি প্রথম স্ত্রী এবং স্বামীর নামে নিবন্ধিত হয়ে থাকে, তাহলে প্রত্যেক পক্ষের দ্বারা কৃত সংযোজন নির্ধারণ করবেন এবং বিবাহ বিচ্ছেদের সময়ে, তদনুসারে সম্পদটিকে বিভক্ত করতে পারেন৷
যদি সম্পত্তিটি স্বামীর নামে নিবন্ধিত হয়ে থাকে এবং তিনি একমাত্র ঋণগ্রহীতা হন, তাহলে হিন্দু বিবাহ আইন, 1955 অনুসারে বিবাহ বিচ্ছেদের সময়ে সেটিতে দাবি করতে পারেন না৷ সম্পত্তিটি বিবাহের পরে ক্রয় করা হয়েছিল, এই তথ্যটির বিষয়টির উপর কোন প্রভাব থাকবে না৷ দ্বিতীয় স্ত্রী উল্লেখিত সম্পত্তিতে দাবি করতে পারেন৷
প্রথম স্ত্রীর সঙ্গে বিবাহ বিচ্ছেদ বিনাই দ্বিতীয় বিবাহ
যদি প্রথম স্ত্রীর সঙ্গে বিবাহ বিচ্ছেদ ছাড়াই দ্বিতীয় বিবাহ অনুষ্ঠিত হয়, তাহলে দ্বিতীয় স্ত্রী সম্পত্তিতে কোন দাবি করতে পারেন না কারণ তাঁর স্বামীর সঙ্গে তাঁর বিবাহটি অবৈধ৷
দ্বিতীয় বিবাহ: দ্বিতীয় বিবাহের খোরপোষের অধিকার
দ্বিতীয় স্ত্রী, যাঁর তাঁর স্বামীর সঙ্গে বিবাহটি আইনের দৃষ্টিতে অবৈধ, কোড অফ ক্রিমিনাল প্রসিডিওর, 1974 এর ধারা 125 এর অধীনে তাঁর স্বামীর থেকে খোরপোষের অধিকার উপভোগ করতে পারেন না৷ লখনৌ ভিত্তিক একজন আইনজীবী, প্রভাঙশু মিশ্র, যিনি সম্পত্তি আইনের একজন বিশেষজ্ঞ, ব্যাখ্যা করেন, ”দ্বিতীয় স্ত্রীর সন্তানগুলি, যাঁর বিবাহ বৈধ নয়, তাদের নাবালক থাকা এবং নিজেদের ভার বহনে সক্ষম না হওয়া পর্যন্ত খোরপোষ দাবি করতে পারে৷ তারা এমনকি সাবালকত্বে উপনীত (18 বছর বয়সের পরে) হওয়ার পরেও তাদের পিতার থেকে খোরপোষের দাবি করতে পারে, যদি কোন শারীরিক অথবা মানসিক অস্বাভাবিকতা থাকে এবং তাঁরা নিজেদের ভার বহনে অক্ষম হয়৷ তবে, এই নিয়মটি দ্বিতীয় স্ত্রীর বিবাহিতা কন্যার ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হয় না”৷
একটি নির্দিষ্ট মামলার ক্ষেত্রে তাঁর রায় প্রদানের সময়ে, আদালত উল্লেখ করেছেন যে দ্বিতীয় স্ত্রী, যাঁর তাঁরা স্বামীর সঙ্গে বিবাহটি অবৈধ, খোরপোষের দাবি করতে পারেন, যদি তিনি প্রমাণ করতে সক্ষম হন যে তিনি তাঁরা স্বামীর পূর্বতন বিবাহ সম্পর্কে অঙ্গ ছিলেন৷
মিশ্র আরও বলেন, এই প্রকার একটি পরিস্থিতিতে, দ্বিতীয় স্ত্রী তাঁর স্বামীর বিরুদ্ধেও একটি আদালতে মামলা করতে পারেন, যদি তিনি তাঁকে খোরপোষ দিতে অস্বীকার করেন৷ তবে, স্ত্রীকে প্রমাণ করতে হবে যে দ্বিতীয় বিবাহের সময়ে তাঁকে প্রথম বিবাহ সম্পর্কে অনাবগত রাখা হয়েছিল৷
তবে, এই বিষয়টির উপর বিভিন্ন আদালত বিভিন্নভাবে আলোকপাত করেছেন৷ 2021 সালে, মুম্বই উচ্চ আদালতের নাগপুর বেঞ্চ নির্ধারণ করেছিলেন যে দ্বিতীয় স্ত্রীকে তাঁর আইনগতভাবে বিবাহিতা স্ত্রী বলা যাবে না, এমনকি যদিও তিনি তাঁর প্রথম বিবাহের বিষয়টি অপ্রকাশিত রেখেছিলেন৷
এই প্রকার উল্লেখ করা হয়েছে যে, “বিতর্কের খাতিরে এই প্রকার ধরে নেওয়া হলেও, যে বিচার প্রার্থী (দ্বিতীয় স্ত্রী) কে বিবাদী (স্বামী) প্রথম বিবাহের সম্পর্কে অজ্ঞ রেখেছিলেন, উক্ত তথ্যের প্রমাণে, বিচারপ্রার্থীর আবেদন যে তিনি বিবাদীর আইনগতভাবে বিবাহিতা স্ত্রী, এটি স্বীকার করা যাবে না”৷
একটি দ্বিতীয় বিবাহের সন্তানদের সম্পত্তিতে অধিকার
একটি দ্বিতীয় বিবাহের – বৈধ হোক অথবা অবৈধ – কারণে জন্মানো সন্তানগুলির প্রথম স্ত্রীর সন্তানগুলির মত তাদের পিতার সম্পত্তিতে একই অধিকার থাকবে, যেহেতু হিন্দু বিবাহ আইনের ধারা 16 এর অধীনে দ্বিতীয় বিবাহের সন্তানগুলিকে আইনানুগ হিসাবে স্বীকার করা হয়েছে৷ তারা তাদের পিতার শ্রেণী-1 উত্তরাধিকারীর মধ্যে পড়ে এবং তাঁর মৃত্যুর ক্ষেত্রে, হিন্দু উত্তরাধিকার আইন, 1956 এর সংস্থাগুলি অনুসারে উত্তরাধিকার সূত্রে সম্পত্তি প্রাপ্ত করতে পারে৷
ভারতের সর্বোচ্চ ন্যায়ালয় এই দৃষ্টিভঙ্গি পোষণ করেন যে একটি দ্বিতীয় বিবাহের কারণে জন্ম হওয়া সন্তানগুলি পিতার সম্পত্তি দাবি করতে পারে, এমনকি যদিও বিবাহ বন্ধনটি আইনানুগ না হয়ে থাকলেও৷
যেখানে দ্বিতীয় বিবাহটির কারণে জন্ম হওয়া সন্তানগুলিকে উত্তরাধিকার সূত্রে প্রাপ্ত সম্পত্তিটিকে অন্যান্য শ্রেণী-1 উত্তরাধিকারীদের সঙ্গে ভাগ করে নিতে হবে, তারা তাঁর দ্বারা এই প্রকার একটি অভিপ্রায় প্রকাশ করে একটি উইল অর্থাৎ ইচ্ছাপত্র রাখার ক্ষেত্রে তাঁর স্ব-অর্জিত সম্পত্তির একক মালিক হতে পারবে৷
কোন উইল বা ইচ্ছাপত্র না থাকার ক্ষেত্রে, মৃত ব্যক্তির আইনগত উত্তরাধিকারীদের দ্বারা স্ব-অর্জিত সম্পত্তিতে দাবি করা যেতে পারে৷
কারা শ্রেণী-1 আইনগত উত্তরাধিকারী? |
একজন হিন্দু ব্যক্তির সম্পত্তি, যাঁর একটি উইল অথবা ইচ্ছাপত্র না করেই (অকৃত-ইচ্ছাপত্র) মৃত্যু হয়েছে, তাঁর শ্রেণী-1 উত্তরাধিকারীদের নিকট প্রদান করা হবে৷ একজন ব্যক্তির শ্রেণী-1 উত্তরাধিকারীদের মধ্যে অন্তর্ভুক্ত হন:
|
শ্রেণী-2 উত্তরাধিকারী কারা? |
একজন মৃত ব্যক্তির সম্পত্তি, তাঁর দাবি প্রতিষ্ঠা করার জন্য কোন শ্রেণী-1 উত্তরাধিকারী উপস্থিত না থাকার ক্ষেত্রে তাঁর শ্রেণী-2 উত্তরাধিকারীদের মধ্যে বিভক্ত করা হয়৷ একজন ব্যক্তির শ্রেণী-2 উত্তরাধিকারীদের মধ্যে অন্তর্ভুক্ত হন:
|
এছাড়াও দেখুন: মালিকের মৃত্যুর পরে সম্পত্তির হস্তান্তর সম্পর্কে সকল কিছু জানুন
প্রায়শই জিজ্ঞাসিত প্রশ্নগুলি (FAQs)
একজন দ্বিতীয় স্ত্রীর আইনগত অধিকারগুলি কি কি?
একজন দ্বিতীয় স্ত্রীর আইনগত অধিকারগুলি নির্ধারিত হয় তাঁর বিবাহের আইনগত স্থিতির দ্বারা৷ যদি বিবাহটি বৈধ হয়, তাহলে দ্বিতীয় স্ত্রী, প্রথম স্ত্রীর মত একই আইনগত অধিকারগুলি উপভোগ করেন৷
স্বামীর সম্পত্তির উপর দ্বিতীয় স্ত্রীর অধিকারগুলি কি কি?
হিন্দু উত্তরাধিকার আইনের অধীনে, স্বামীর সম্পত্তিতে দ্বিতীয় স্ত্রীর অধিকারগুলি প্রথম স্ত্রীর মত একই থাকে যদি বিবাহটি অনুষ্ঠিত হয়ে থাকে প্রথম স্ত্রীর সঙ্গে বিবাহ বিচ্ছেদের অথবা প্রথম স্ত্রীর মৃত্যুর পরে৷
দ্বিতীয় স্ত্রী কি প্রথম স্ত্রীর সম্পত্তি দাবি করতে পারেন?
না, একজন দ্বিতীয় স্ত্রী, প্রথম স্ত্রীর আইনগত মালিকানাধীন সম্পত্তি দাবি করতে পারেন না৷
একজন হিন্দুর ক্ষেত্রে প্রথম স্ত্রী জীবিত থাকাকালীন দ্বিতীয় বিবাহ কি আইনসম্মত?
আইন দ্বিতীয় বিবাহটির ক্ষেত্রে আইনগত বৈধতা প্রদান করে না যদি প্রথম স্বামী অথবা স্ত্রী জীবিত থাকেন অথবা দ্বিতীয় বিবাহের সময়ে যদি পূর্বতন স্বামী অথবা স্ত্রীর সঙ্গে বিবাহ বিচ্ছেদ চূড়ান্ত না হয়ে থাকে৷
দ্বিতীয় স্ত্রীর সন্তানদের সম্পত্তিতে অধিকারগুলি কি কি?
দ্বিতীয় স্ত্রীর সন্তানগুলির, প্রথম স্ত্রীর সন্তানগুলির মত একই অধিকার থাকবে৷ একজন ব্যক্তির সকল সন্তানগুলিই শ্রেণী-1 উত্তরাধিকারীর মধ্যে পড়েন এবং তাঁদের উত্তরাধিকারমূলক সম্পত্তিতে সমান অধিকার উপভোগ করেন৷